ঝালকাঠিতে তালগাছ কেটে শতাধিক বাবুই পাখির বাসা ধ্বংস ও ছানা হত্যার অভিযোগে করা পৃথক দুটি মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গতকাল রোববার বিকেলে পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মোবারক আলী ফকির (৬৫)। তিনি ঝালকাঠি সদর উপজেলার পূর্ব গুয়াটন এলাকার বাসিন্দা।
এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলার পূর্ব গুয়াটন এলাকার একটি তালগাছ কেটে ফেলা হয়। তালগাছটি মোবারক আলীর জমির পাশে সড়কের ধারে ছিল। গাছটি অনেক বছর ধরে বাবুই পাখির নিরাপদ আশ্রয়স্থল ও প্রজননকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল। এতে অসংখ্য ঝুলন্ত বাসা, ডিম ও ছানা ছিল। মিজানুর রহমান নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি মোবারক আলীর কাছ থেকে গাছটি কিনে কাটেন। এতে সহযোগিতা করেন ফারুক হোসেন নামের আরেক ব্যক্তি। গাছ কাটার সময় অসংখ্য বাসা নিচে পড়ে ডিম ভেঙে যায় এবং ছানাগুলো মাটিতে পড়ে মারা যায়।
এ ঘটনায় গতকাল দুপুরে স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) জায়গায় থাকা তালগাছ কাটার অভিযোগে ওই তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করেন। পাশাপাশি বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বাবুই পাখির ছানা হত্যা ও ডিম ধ্বংস করার অভিযোগে বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী আরেকটি মামলা করা হয়। মামলার বাদী ঝালকাঠি সামাজিক বনায়ন ও নার্সারি প্রশিক্ষণকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুর রহমান। মামলার পর থেকে অভিযুক্ত তিনজনই পলাতক ছিলেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, মোবারককে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পলাতক অন্য দুজন আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।