করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া প্রতিবেদন তৈরি করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। তাঁরা ঢাকার বনানীতে অবস্থিত প্রভা হেলথ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চিকিৎসক সিমিন এম আকতার, পরিচালক জাহিদ হোসেইন এবং জুনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার রেজোয়ান আল রিমন।
আজ সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইব্রাহিম খলিলের আদালতে মামলাটি করেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুস সাত্তার।
বাদীপক্ষের আইনজীবী হাসান আলী চৌধুরী বলেন, আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে তিন আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের মার্চে বাদী অসুস্থ হয়ে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে গেলে সেখানে এনজিওগ্রাম করানোর আগে করোনা নেগেটিভ সনদ চাওয়া হয়। এরপর তিনি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করে প্রভা হেলথ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নমুনা জমা দেন।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তাঁর করোনা পরীক্ষার ফল ‘পজিটিভ’। কিন্তু প্রতিবেদনে নমুনা সংগ্রহের সময় দেখানো হয় রাত ৯টা (২১টা), অথচ নমুনা নেওয়া হয়েছিল বিকেল ৪টায়। পরে উপসর্গ না থাকায় আরেকটি হাসপাতালে পরীক্ষা করালে সেখানে রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ আসে। এরপর তিনি রাজধানীর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে ভর্তি হয়ে হার্টে দুটি রিং পরান।
বাদী আবদুস সাত্তার বলেন, ‘করোনা পরীক্ষার নামে প্রতারণা করেছে প্রভা হেলথ। আমার মতো আরও অনেক রোগীর সঙ্গে এমন আচরণ করেছে তারা। এ জন্যই মামলা করেছি।’ এত দিন পরে মামলা করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘হাসপাতালটির কর্তৃপক্ষ ফ্যাসিস্টের সহযোগী। বিচার পাব না মনে করে এত দিন মামলা করিনি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রভা হেলথ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আল আমিন বলেন, ‘মামলার বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। কাগজপত্র হাতে পাওয়ার পর আইনগতভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’