ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৮ দিন চিকিৎসার পর বাসায় ফিরেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক। আজ সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
এরপর নুরুল হক বাসার উদ্দেশে হাসপাতাল ছাড়েন বলে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তিনি বলেছেন, নুরুল হক আজ ঢাকা মেডিকেল থেকে বাসায় গেলেও আগামীকাল মঙ্গলবার অন্য আরেকটি হাসপাতালে তাঁর নাকের অস্ত্রোপচার করা হবে।
রাশেদ খান বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেল থেকে আজ তাঁকে রিলিজ দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল আরেকটি মেডিকেলে তাঁর নাকের অস্ত্রোপচার করানো হবে। এক মেডিকেল থেকে আরেক মেডিকেলে যেতে হবে, তাই আজকে তিনি রিলিজ নিয়ে বাসায় গিয়েছেন।’
নুরুল হকের শারীরিক অবস্থা নিয়ে রাশেদ খান বলেন, ‘নুরুল হক এখনো হাঁটাচলা করতে পারেন না। তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতির জন্য আরও কিছুদিন সময় লাগবে। নাকের হাড় ভেঙে যাওয়ায় তিনি এখনো স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারেন না।’
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নুরুল হককে দেশের বাইের চিকিৎসার জন্য নেওয়ার কথা বলা হলেও তা হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে নুরুল হকের চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে গণ অধিকার পরিষদ।
রাশেদ খান বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে দেশের বাইরে পাঠানোর কথা বলা হলেও গড়িমসি করা হচ্ছে। বিষয়টি ঝুলে থাকায় দলের পক্ষ থেকে আমরা নুরুল হককে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

গত ২৯ আগস্ট সন্ধ্যায় কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দিয়ে গণ অধিকার পরিষদের একটি মিছিল যাওয়ার সময় সংঘর্ষে জড়ান দুই দলের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনার পর গণ অধিকার পরিষদের কার্যালয়ের সামনে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা দলটির নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটা করেন। তখন দলের সভাপতি নুরুল হক গুরুতর আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে নুরুল হককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর পর থেকে সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।