চলতি বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন ভেনেজুয়েলার মারিয়া কোরিনা মাচাদো। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) নরওয়েভিত্তিক নোবেল কমিটি বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে।
পুরস্কার হিসেবে তিনি ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনর (প্রায় ১.১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার), একটি ডিপ্লোমা এবং একটি পদক পাবেন। ছয়টি নোবেল বিভাগের মধ্যে শান্তি পুরস্কার সবচেয়ে বেশি বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করে।
নোবেল পুরস্কার সাধারণত নির্দিষ্ট ক্রমে ঘোষণা করা হয়: চিকিৎসা, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি এবং অর্থনীতি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৫ সালের শান্তি পুরস্কারের জন্য বিভিন্ন দেশ ও নেতাদের দ্বারা মনোনিত হয়েছিলেন। ট্রাম্প দাবি করেছেন যে, তিনি আটটি যুদ্ধ শেষ করেছেন, যা তাকে এই পুরস্কারের যোগ্য করে, এবং তিনি ২০০৯ সালে কূটনীতি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জন্য নোবেল জয়ী বারাক ওবামার সঙ্গে নিজেকে তুলনা করেন।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, চলতি বছর নোবেল পুরস্কারের জন্য মোট ৩৩৮টি মনোনয়ন জমা পড়ে। এর মধ্যে ২৪৪ জন ব্যক্তি এবং ৯৪টি সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান মনোনীত হয়েছিল।
নোবেল কমিটি জানিয়েছে, মাচাদোকে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে ভেনেজুয়েলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় তার অবিচল ও সাহসী ভূমিকা এবং স্বৈরশাসন থেকে ন্যায়ভিত্তিক ও শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রূপান্তর ঘটানোর জন্য তার দীর্ঘ লড়াইয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ।
ঘোষণায় বলা হয়েছে, গণতন্ত্রের জন্য তার অবিচল সংগ্রাম ও অহিংস প্রতিরোধের মাধ্যমে মারিয়া কোরিনা মাচাদো শুধু ভেনেজুয়েলায় নয়, বরং সারা বিশ্বের গণতন্ত্রকামী জনগণের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছেন।

গত বছর (২০২৪) নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিল জাপানের অ্যান্টি-নিউক্লিয়ার সংগঠন নিহন হিদানকিয়ো, যা হিরোশিমা ও নাগাসাকির পরমাণু বোমা হামলার বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের এক তৃণমূল আন্দোলন।
এর আগে, ২০২৩ সালে শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন ইরানের নার্গিস মোহাম্মাদি । ইরানি নারীদের নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই ও সবার জন্য মানবাধিকার ও স্বাধীনতার প্রচারের জন্য তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

২০২২ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান বেলারুশের মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী আলেস বিলিয়াতস্কি, রুশ মানবাধিকার সংস্থা মেমোরিয়াল ও ইউক্রেনীয় মানবাধিকার সংস্থা সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজ।