লামায় আইনজীবীর ক্ষমতা দেখিয়ে জমি জবর দখল চেষ্টায় হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে সম্পত্তি দখলের অপচেষ্টায় আরাফাত নামে একজন তার আইনজীবী ভাই জাফর আলম এর সহযোগিতায় মামলা দিয়ে হয়রানি
করা অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৪ঠা জুলাই) লামা প্রেসক্লাবে ভুক্তভোগী তিন সহোদর সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে সররব মহলের সহযোগিতা কামণা করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা বলেন,
তাদের মৃত পিতা আনোয়ার হোসেন ও মাতা
নুরজাহান বেগমের নামে ১৯৮০-৮১ সালে সরকার কর্তৃক ২৮৪নং ইয়াংছা মৌজায় আর/৩২৫ এবং আর/৩১৪ নং হোল্ডিং মূলে মোট ১০ একর ভূমি বন্দোবস্ত পান। তার বাবা জীবিত থাকাকালীন সেই জমিতে বিভিন্ন গাছের বাগান ও খামার ঘর তৈরি করে ভোগ দখলে ছিলেন। ২০২৪ সালে তার বাবা-মা মারা যাওয়ার পর থেকে ওয়ারিশ হিসেবে তারা ওই জমি ভোগ করে আসছেন।এক বছর আগে ওই জমিতে একটি নতুন খামার ঘর তৈরি করেন। গেলো কোরবানির ঈদের সময় সপ্তাহ খানেক খামার বাড়িতে অনুপস্থিত থাকার সুযোগে গত ২ জুন/২৫ গভীর রাতে আরাফাত ও তার ভাই আইনজীবী মোঃ জাফর আলমসহ অজ্ঞাতনামা বহিরাগত সন্ত্রাসী ভাড়া করে তাদের নির্মিত ঘরটি ভেঙে দেয়। ওই সময় বাগান থেকে ২০-২৫টি গাছ কেটে নিয়ে যায়। এসব কর্মকান্ডে বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকে ও পরিবারের অন্য সদস্যদেরকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়। বর্তমানে ভুক্তভোগীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়।

হামলাকারীরা নাজমুল হাসানদের ঘর ভেঙে ফেলার পর গত ২১ জুন সেখানে আরেকটি খামার ঘর নির্মাণ করেন। এর চার দিন পর, ২৫ জুন আইনজীবী জাফর আলমের ভাই আরাফাত (৩০) আর/৩৫৭ হোল্ডিং এর ৫ একর জমির একটি বায়না নামা উপস্থাপন করে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারা চেয়ে ফৌজদারী অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, যে জমির জমাবন্দি দিয়ে নাজমুল হাসান ও তার পরিবার এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, ওই জায়গার আশেপাশে হোল্ডিংয়ের চৌহদ্দির সীমার কোন অস্তিত্ব নেই।

সম্মেলনে আরো বলা হয়, আইনজীবী জাফর আলম গং গত ১ জুলাই আরেকটি মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়ে নাজমুল হাসান, তার ভাই ও তোফাজ্জল হোসেন এবং খামারের কর্মচারীসহ ৫ জন সহ ৬/৭ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আরেকটি মামলা করেন। এর আগে জমি জবরদখলের হাত থেকে রক্ষার জন্য নাজমুল হাসান গত ১লা জুলাই উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারায় জাফর আলম গংয়ের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ফৌজদারী অভিযোগ করেছেন।

নাজমুল হাসান সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও নির্বাহী আদালতে আনা অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাদের অভিযোগ হচ্ছে, আইনজীবী জাফর আলম ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাদের মাতা পিতার নামীয় ও ৪০-৪৫ বছরের ভোগ দখলীয় জায়গা আত্মসাতের চেষ্টা করছেন। এই দখল ও হয়রানির হাত থেকে বাঁচতে নাজমুল হাসান ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

Share With Your Friends

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *