যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের স্ত্রী কুইন কনসর্ট ক্যামিলা কিশোরী বয়সে একবার যৌন নিপীড়নের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন। সম্প্রতি প্রকাশিত রাজপরিবার নিয়ে লেখা এক বইয়ে এমন দাবি করা হয়েছে।
টাইমস পত্রিকার সাবেক রয়্যাল সম্পাদক ভ্যালেনটাইন লোর বই ‘পাওয়ার অ্যান্ড দ্য প্যালেস’–এ ঘটনাটি উঠে এসেছে। বইয়ে উল্লেখ করা হয়, ২০০৮ সালে লন্ডনের মেয়র থাকাকালে বরিস জনসনকে ঘটনাটি জানিয়েছিলেন ক্যামিলা।
ক্যামিলা ১৬ বা ১৭ বছর বয়সে ট্রেনে চড়ে প্যাডিংটন স্টেশনের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় তাঁর শরীর স্পর্শ করতে থাকেন এক ব্যক্তি। সঙ্গে সঙ্গে ক্যামিলা তাঁর জুতা খুলে ওই ব্যক্তিকে পেটান।
বরিস জনসনকে ক্যামিলা বলেছেন, এমন পরিস্থিতিতে পড়লে তাঁর মা তাঁকে জুতা দিয়ে আত্মরক্ষার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
ঘটনার পর লন্ডনে পৌঁছে ক্যামিলা স্টেশনের কর্মীদের বিষয়টি জানান। পরে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।
বাকিংহাম প্যালেস এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য না করলেও ঘটনাটির বিবরণ নিয়ে আপত্তি জানায়নি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কুইন কনসর্ট ক্যামিলা নারীর প্রতি সহিংসতা, যৌন নির্যাতন ও পারিবারিক সহিংসতার শিকার মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কাজ করে আসছেন।
২০২০ সালে এক বক্তৃতায় ক্যামিলা বলেন, ‘কাজের সুবাদে আমি অনেক নারীর সঙ্গে কথা বলেছি, যাঁরা বছরের পর বছর পারিবারিক সহিংসতা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। কিন্তু তাঁরা শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হয়েছেন। তাঁরা আর ভুক্তভোগী নন। তাঁদের গল্পগুলো অত্যন্ত বেদনাদায়ক এবং শুনে অনেকের চোখে পানি এসেছে।’
গত এপ্রিলে সেফলাইভসের এক অনুষ্ঠানে ক্যামিলা বলেন, ‘১০ বছর আগে হলে আমি এখানে দাঁড়াতে পারতাম না। তখন এসব বিষয়ে কথা বলা একেবারেই নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু এখন ভুক্তভোগীরা নিজেরাই উঠে দাঁড়িয়ে তাঁদের গল্প বলছেন এবং অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করছেন।’
রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, এত দিন ক্যামিলা ঘটনাটি প্রকাশ্যে আনেননি। কারণ, তিনি নিজের অভিজ্ঞতার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ না করে ভুক্তভোগীদের গল্প সামনে আনতে চেয়েছেন।