‘ভারতকে টুকরো করে দাও’ পোস্টের পর অস্ট্রিয়ার অর্থনীতিবিদের এক্স অ্যাকাউন্ট ব্লক

‘ভারতকে টুকরো করে দাও’ আহ্বান–সংবলিত একটি পোস্ট দেওয়ার পর আজ শুক্রবার অস্ট্রিয়ার অর্থনীতিবিদ গুন্থার ফেহলিংগার-জানের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টটি ভারতে ব্লক করে দিয়েছে সে দেশের সরকার।

ফেহলিংগার-জান তাঁর পোস্টে লিখেছিলেন, ‘আমি ভারতকে টুকরো করে সাবেক ইন্ডিয়া করার আহ্বান জানাচ্ছি। (ভারতের প্রধানমন্ত্রী) নরেদ্র মোদি রাশিয়ার লোক। ‘খালিস্তাননেট’–এর জন্য আমাদের স্বাধীনতার বন্ধু দরকার।’ খালিস্তাননেট একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যা খালিস্তান আন্দোলনের সমর্থনে কার্যক্রম চালায়।

ফেহলিংগার-জান এমন এক সময়ে পোস্টটি দিলেন, যখন নরেন্দ্র মোদি চীনের তিয়ানজিন শহরে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলেন (৩১ আগস্ট–১ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা সম্মেলনের এক ফাঁকে এক ঘণ্টার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকও করেন। বৈঠক শেষে একই গাড়িতে করে অনুষ্ঠানস্থলে যান।

ফেহলিংগার-জান তাঁর পোস্টের সঙ্গে একটি মানচিত্রও শেয়ার করেছেন। যেখানে ভারতের প্রায় সব অঞ্চলকে পাকিস্তান, খালিস্তান, নেপাল এবং বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। তাঁর পোস্টের একটি স্ক্রিনশট ভারতের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করে। তাঁরা ফেহলিংগার-জানকে অনলাইনে উসকানিমূলক মন্তব্যকারী বলে তকমা দেন। জনগণের ক্ষোভের মুখে ফেহলিংগার-জানের এক্স অ্যাকাউন্ট ভারতে ব্লকের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

সরকারের সিদ্ধান্তের আগে ভারতের রাজনৈতিক দল শিবসেনার (ইউবিটি) রাজ্যসভার সদস্য প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী স্ক্রিনশটটি যুক্ত করে একটি পোস্টে ফেহলিংগার-জানের মন্তব্যকে ‘পাগলের প্রলাপ’ বলে অভিহিত করেন। তিনি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অস্ট্রিয়ার দূতাবাসের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য অনুরোধ জানান।

গত বুধবার ‘বহুমেরু বিশ্বব্যবস্থা’–এর ওপর আবার জোর দেন পুতিন। তিনি ভারত ও চীনের মতো অর্থনীতির ক্রমবর্ধমান গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, কোনো একটি দেশের একক ক্ষমতা দিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতি বা নিরাপত্তা পরিচালিত হওয়া উচিত নয়। যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ্য করেই তিনি এই কথা বলেছেন।

চীনে চার দিনের সফর শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, ‘এই বহুমেরুর বিশ্বব্যবস্থায় সবার সমান অধিকার আছে। হ্যাঁ, ভারত বা চীনের মতো অর্থনৈতিক বড় শক্তিগুলো আছে। আমাদের দেশ ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে শীর্ষ চার অর্থনীতির মধ্যে অন্যতম। কিন্তু এর মানে এই নয় যে কারও রাজনীতি বা বিশ্ব নিরাপত্তায় আধিপত্য থাকা উচিত। সবাইকে সমান হতে হবে।’

Share With Your Friends

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *