এপ্রিল ২০২৫ এ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৫ দেশের সুদৃঢ় অর্থনৈতিক রূপান্তরের পথে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সম্মেলনে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের দূরদর্শী বক্তব্য একটি বিস্তৃত ও সময়োপযোগী রূপরেখা উপস্থাপন করে-যেখানে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টির পথ, শিল্পায়ন এবং আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এই সম্মেলনে দেশি-বিদেশি বহু ব্যবসায়ী অংশগ্রহণ করেন। গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে, সেই সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মূল্যায়ন ও অংশগ্রহণও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন নাসা গ্রুপ, যা বাংলাদেশের শিল্পখাতের একটি শক্তিশালী ভিত্তি হিসেবে বহু বছর ধরে অর্থনীতিকে গতিশীল করে রেখেছে।
নাসা গ্রুপ এরই মধ্যে ৩০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। পোশাকশিল্প, ব্যাংকিং, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও উৎপাদন খাতে শুধু জিডিপি বৃদ্ধি নয়, বরং দেশব্যাপী হাজারো পরিবারের জীবিকা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করেছে। বর্তমান সময়ের জাতীয় অগ্রগতির জন্য এমন অবদান অপরিহার্য।
নাসা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা জনাব নজরুল ইসলাম মজুমদার একজন জনগণনির্ভর ব্যবসায়ীর প্রতীক। তার ব্যবসায়িক নেতৃত্ব এবং মানবকল্যাণমূলক কার্যক্রম সামিটে উপস্থাপিত জাতীয় উন্নয়ন চেতনার সঙ্গে সরাসরি সামঞ্জস্যপূর্ণ। দেশের বৃহত্তম ক্যান্সার হাসপাতাল ও একটি বিশ্বমানের মেডিকেল কলেজ গড়ার মতো যুগান্তকারী উদ্যোগ নিয়েছেন।
শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য বিতরণ, এবং এতিম ও বিধবাদের সহায়তায় তার অব্যাহত অবদানে হয়েছেন সামাজিকভাবে প্রশংসিত।
সম্মেলনে প্রদত্ত মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার ঐকান্তিক আহ্বানে সাড়া দিয়ে, নাসা গ্রুপ জাতীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে অব্যাহত অবদান রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে। আমরা বিশ্বাস করি, দায়িত্বশীল ব্যবসায়ী নেতৃত্ব ও রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারকদের সম্মিলিত প্রয়াসে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের পথে।
নাসা গ্রুপের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে। তার দিকনির্দেশনা আমাদের নতুন করে আশাবাদী করেছে এবং নাসা গ্রুপ ভবিষ্যতেও দেশের পাশে থেকে সততা, উদ্ভাবন এবং মানবিকতা নিয়ে কাজ করে যাবে।
মারুফ সরকার