বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান

শেষ ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৩ রান। প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে রিশাদ হোসেনকে স্ট্রাইক দেন মুস্তাফিজুর রহিম। মোহাম্মদ হারিসের করা দ্বিতীয় বলে ৪ মেরে ব্যবধান কমিয়ে আনেন রিশাদ। কিন্তু ফিরতি বলে কোনো রানই নিতে পারলেন না।চতুর্থ বলে ৬ হাঁকিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছিলেন রিশাদ। কিন্তু শেষ ২ বলে ১২ রানের সমীকরণে কোনো রানই নিতে পারেননি বাংলাদেশি অলরাউন্ডার।

তাতে আরেকবার ব্যাটিং ব্যর্থতায় হার নিয়েই মাঠ ছাড়ল বাংলাদেশ। বিপরীতে ১১ রানের জয়ে আগামী রবিবারের ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান।অল্প রানের সংগ্রহে পাকিস্তানকে জয় এনে দেওয়ার কারিগর ৩ টি করে উইকেট নেওয়া শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হারিস।

লক্ষ্যটা খুব বড় ছিল না বাংলাদেশের জন্য। ১২০ বলে ১৩৬ রান। কিন্তু এই রান তাড়া করতে নেমেই কাঁপাকাঁপি শুরু বাংলাদেশের।শুরুটাও প্রথম ওভার থেকেই। শাহীন শাহ আফ্রিদির পঞ্চম বলে রানের খাতা খোলার আগেই ড্রেসিংরুমে নিজেকে নিয়ে যান পারভেজ হোসেন ইমন।

দলীয় ১ রানে সেই যে শুরু এরপর আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ১৮ রান করা সাইফ হাসান বাদে অবিবেচকের মতো শট খেলে আউট হয়েছেন জাকের আলি অনিক-শামীম হোসেন পাটোয়ারিসহ অন্যরা। ব্যক্তিগত ৩০ রানে রিভার্স সুইপ খেলে শামীম আউট হওয়ার আগেও ম্যাচটা ছিল।কেননা তার আউটের সময় বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২০ বলে ৩৯ রান।

প্রয়োজনের ওই রানের সময়ই অষ্টম ব্যাটার হিসেবে আউট হন তানজিম হাসান সাকিবও (১১)। তাকে ফেরান পায়ে টান পাওয়া হারিস রউফ। ১৮তম ওভারেই তাসকিন আহমেদকে বোল্ড করে পাকিস্তানের জয় হাত ছোঁয়া দূরত্বে এনে দেন হারিস। শেষ দিকে ১৬ রান করে শুধু পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছেন রিশাদ।

এতে করে বাংলাদেশি বোলারদের দারুণ প্রচেষ্টা সাফল্যর মুখ দেখেনি। পাকিস্তানকে যে মাত্র ১৩৫ রানে থামিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ-রিশাদরা। ৪৯ রানে ৫ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডার ধসিয়ে দিয়েছিলেন তারা।

পরে পাকিস্তান এই সংগ্রহটাও পেত না। শাহীন শাহ আফ্রিদি দুইবার ও মোহাম্মদ নওয়াজ একবার জীবন পেয়ে লড়াইয়ের পুঁজিটা এনে দেন। ১ ও ৩ রানে জীবন পাওয়া শাহীন দুই ছক্কায় করেন ১৯ রান। অন্যদিকে শূন্য রানে জীবন পাওয়া নওয়াজ খেলেন ২ ছক্কা ও ১ চারে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫ রান।

পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন মোহাম্মদ হারিস। প্রতিপক্ষকে অল্প রানে আটকাতে বোলিংয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। তার ৩ উইকেটের বিপরীতে ২ টি করে নিয়েছেন রিশাদ হোসেন ও শেখ মেহেদী।

Share With Your Friends

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *