ববির নবনিযুক্ত উপাচার্য হিসেবে ড.মোঃতৌফিক আলমের যোগদান

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) অন্তর্বতীকালীন উপাচার্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে যোগদানপত্রে স্বাক্ষরের মাধ্যমে তিনি এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।

এক সাক্ষাতকারে অধ্যাপক ড.তৌফিক আলম বলেন,যেহেতু সরকার আমাকে একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে নিয়োগ দিয়েছে, তাই আমি আমার সাধ্যমত সর্বোচ্চ চেষ্টা করব বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে যাতে বিশ্ববিদ্যালয় মান, মর্যাদা ও র‍্যাংকিংয়ে আরও এগিয়ে যেতে পারে।আমি চাইব, ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সবাই মিলে যেন একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকে। যেহেতু এটি আমার এখানে প্রথম আসা, তাই এখানকার সমস্যা কোথায় তা এখনো জানি না। আমি গাড়িতে বসে আসতে আসতে চিন্তা করছিলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো কীভাবে জানতে পারি, কার কাছ থেকে জানতে পারি। আমি চিন্তা করেছি, প্রতিটি বিভাগের সিআর এবং শিক্ষকদের নিয়ে একটি বৈঠক করব প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ জনের মতো হতে পারে।
যদি সমস্যাগুলো সঠিকভাবে চিহ্নিত করা যায়, তবে সমাধান অবশ্যই সম্ভব। আর যদি কোনো সমস্যার সাথে আর্থিক বিষয় জড়িত থাকে, তবে সময় কিছুটা বেশি লাগতে পারে। ফ্যাসিবাদের দোসরদের নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, যেহেতু ফ্যাসিবাদের দোসর আছে কিনা আমি জানি না, যদি থেকে থাকে এই ব্যাপারে জিরো টলারেন্স থাকবে আমার পক্ষ থেকে।

গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বতীকালীন উপাচার্য হিসেবে ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলমকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

অধ্যাপক মো. তৌফিক আলম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগ থেকে ১৯৮৬ ও ১৯৮৭ সালে যথাক্রমে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

১৯৯৭ সালে তিনি জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইক্রোবায়োলজিতে পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন এবং ২০০২ সালে জাপানের টোকিও ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

১৯৯২ সালে তিনি প্রভাষক হিসেবে ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগে যোগ দেন এবং ২০০৭ সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন।

তাঁর ২টি গ্রন্থের অধ্যায় এবং ৪৩টি প্রবন্ধ দেশ-বিদেশে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ৩০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক সেমিনার, সম্মেলন ও কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছেন। তাঁর তত্ত্বাবধানে বেশ কিছু গবেষণা সম্পন্ন হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের টানা একমাসের আন্দোলনের পর ঢাবি অধ্যাপক শুচিতা শরমিনকে উপাচার্যের পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়৷ একইসাথে উপ-উপাচার্যের পদ থেকে ঢাবি অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানি এবং ট্রেজারারের পদ থেকে পবিপ্রবি অধ্যাপক ড. মামুন অর রশিদকে অব্যহতি দেওয়া হয়।

মোঃআশিকুল ইসলাম
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Share With Your Friends

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *