চট্টগ্রামের পটিয়ায় একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে উপজেলার পৌর সদরের কেলিশহর রাস্তার মাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার শিক্ষকের নাম শ্যামল কান্তি দে। তিনি উপজেলার হাইদগাঁও উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। মারধরে আহত হয়ে বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করেছে। এতে তারা ওই শিক্ষককে হামলার সঙ্গে জড়িত সবার বিচার দাবি করে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শ্যামল কান্তি দে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে বিদ্যালয়টির আরও দুজন শিক্ষক ছিলেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কেলিশহর রাস্তার মাথায় ছয় থেকে সাতজন যুবক অটোরিকশাটি আটকায়। এ সময় শ্যামল কান্তি দে কে নামিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। এরপর অপর দুই শিক্ষক তানিয়া ইয়াছমিন ও প্রান্ত বড়ুয়া চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে শ্যামল কান্তিকে উদ্ধার করেন।
জানতে চাইলে শিক্ষক তানিয়া ইয়াছমিন বলেন, হামলাকারীরা গালাগাল করে মামলা কেন দেওয়া হচ্ছে, এটি জিজ্ঞাসা করছিলেন। আর মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছিলেন। এরপর তাঁরা চিৎকার করলে স্থানীয় বাসিন্দারা এসে শ্যামল কান্তি দে কে প্রাণে বাঁচান।

জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি দে বলেন, বিদ্যালয়ের সভাপতি নিয়োগকে কেন্দ্র করে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল দীর্ঘদিন ধরে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। মিছিল, বিক্ষোভ করেও তাঁর ওপর ‘মব’ করার চেষ্টা করছে। এর আগেও তাঁকে একাধিকবার হুমকি দেওয়া হয়। এসব ঘটনায় তিনি পটিয়া থানায় দুটি সাধারণ ডায়েরিও করেন।
পরে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুজ্জামান বলেন, প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানুর রহমান বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলার বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। ইতিমধ্যে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করা হবে। এর আগেও প্রধান শিক্ষক থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। সেই জিডির পরিপ্রেক্ষিতেই নিয়মিত মামলা হবে।’