জামালপুরে লোকালয়ে বন্য হাতির পাল, ধানখেত নষ্ট

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের বালুরচর গ্রামে ধানখেত, আলুখেত, কলা ও অন্যান্য গাছের বাগান নষ্ট করেছে ভারত থেকে আসা বুনো হাতির পাল। গতকাল সোমবার রাত ১০টা থেকে আজ মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত গ্রামটিতে ছিল এই হাতির পাল।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রায় ৪০টি হাতির একটি পাল সীমান্তবর্তী পাহাড়ে অবস্থান করছিল। হঠাৎ হাতির পালটি গত রাতে বালুরচর গ্রামের লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। আতঙ্কে গ্রামবাসী নির্ঘুম রাত কাটান। গ্রামবাসীর হইহুল্লোড়, মশালের আলো ও ঢাকঢোল পেটানোর শব্দে হাতির পাল ঘরবাড়িতে ঢুকতে পারেনি। তবে বিস্তীর্ণ ধানখেত তছনছ করে গেছে। সারা রাত হাতির পাল তাণ্ডব চালিয়ে আজ মঙ্গলবার ভোরে পাহাড়ের দিকে চলে গেছে।

বকশীগঞ্জের এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের সদস্য মো.আজাদ মিয়া বলেন, ‘গতকাল রাতে বালুরচর গ্রামের হাতির পাল প্রবেশের খবর পাই। সেখানে রাতেই ছুটে যাই। কয়েক সপ্তাহ ধরেই হাতির পালগুলো সীমান্তবর্তী রামক্ষণজোড়া, সাতানীপাড়া ও গারোপাড়া গ্রামের লোকালয়ে ঢুকে ফসলের ক্ষতি করে আসছিল। কিন্তু কোনো ঘরবাড়িতে প্রবেশ করেনি। গতকালই প্রথম হাতির পালটি বালুরচর গ্রামের ঢুকে পড়ে।’

বকশীগঞ্জের ডুমুরতলা বন বিট কার্যালয়ের কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, ‘ওই গ্রামে হাতির পাল ঢোকার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চারটি দল পাঠানো হয়েছে। তারা এখনো ওই এলাকায় অবস্থান করছে। হাতির পালগুলো গ্রামের বেশ কিছু ধানখেত নষ্ট করেছে। তবে কোনো ঘরবাড়ির ক্ষতি করেনি। আমাদের দলের সদস্যরা মাইকিং করে গ্রামবাসীকে সতর্ক করেছেন, যাতে তাঁরা হাতির পালের একদম কাছে না যান। আমরা গ্রামবাসীদের সতর্ক করে যাচ্ছি, হাতির ক্ষতি করা যাবে না। হাতির কারণে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হন, তাঁদের ক্ষতিপূরণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করে থাকি। সেই অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসী ক্ষতিপূরণও পেয়ে থাকেন।’

বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুদ রানা বলেন, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে গ্রামের মানুষকে সতর্ক হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Share With Your Friends

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *