ট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
আজ ২৯ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপিটি আনুষ্ঠানিকভাবে পেশ করা হয়। স্মারকলিপিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থীরা তাদের প্রকৃত অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের জোরালো দাবি তোলে। এই প্রেক্ষাপটে চাকসু নির্বাচন এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সর্বশেষ চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯০ সালে। এরপর দীর্ঘ ৩৪ বছর পেরিয়ে গেলেও আর কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। এতে করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্ব গঠনের সুযোগ ব্যাহত হচ্ছে এবং তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে কোনো প্রতিনিধিত্ব থাকছে না। প্রশাসন এখনো পর্যন্ত প্রয়োজনীয় নীতিমালা চূড়ান্ত করতে না পারায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা ও সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়াও, স্মারকলিপিতে প্রশাসনের কিছু দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির অতীত ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। বলা হয়, এদের কেউ কেউ ফ্যাসিবাদী শক্তির সহযোগী ছিলেন এবং তারা নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিতকরণে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারেন। তাই একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রশাসনকে অবশ্যই এদের প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে।
স্মারকলিপিতে ছাত্রদল চারটি প্রধান দাবি উত্থাপন করে:
১. অবিলম্বে চূড়ান্ত নীতিমালা প্রণয়ন ও নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ।
২. প্রশাসনিক পক্ষপাতদুষ্ট ব্যক্তিদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে নিরপেক্ষ কমিশন গঠন।
৩. গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান।
৪. শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং অতীতের গুপ্ত হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল আশাবাদ ব্যক্ত করে, প্রশাসন শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবিগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক চাকসু নির্বাচন আয়োজন করবে।