কটিয়াদীতে ফেকামারা ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার সভাপতি হলেন রফিকুল ইসলাম

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ফেকামারা ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার গভর্নিং বডির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে সভাপতি মনোনীত হয়েছেন উপজেলা জামায়েত ইসলামীর সাবেক আমীর, বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন কিশোরগঞ্জ জেলা সেক্রেটারী, পোড়াদিয়া ওয়াসিম উদ্দিন খান ডিগ্রি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক, কটিয়াদী হলি ক্রিসেন্ট পাবলিক স্কুল শিক্ষা পরিবারের সম্মানিত চেয়ারম্যান, সাহেবুল উলুম হিফজ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, এন.টিভি’র ধর্মীয় আলোচক, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াতের ইউনিট সদস্য অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম খালেদ।

বৃহস্পতিবার বিকালে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় এর ভাইস চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে রেজিস্টার মোঃ আইয়ুব হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন অত্র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল কাশেম বিপ্লব ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উপযুক্ত বিষয় ও সূত্রের প্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে, মাদ্রাসাটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে এবং নিয়মিত গভর্নিং বডি গঠনের লক্ষে ১১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে বিদ্যুসাহী প্রতিনিধি হিসাবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবং বিধি মোতাবেক অন্যান্য সদস্যদের কে অন্তর্ভুক্ত করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম খালেদ বলেন, অত্র মাদ্রাসার প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অনেকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিসিএস ক্যাডার, উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী হিসেবে দেশের বিভিন্নস্থানে নিয়োজিত আছেন। বর্তমানে মাদ্রাসাটির পরীক্ষার ফলাফল এবং শিক্ষার মানে জেলার মধ্যে বেশ সন্তোষজনক অবস্থানে আছে। ভবিষ্যতে এর ধারাবাহিকতা ধরে রেখে মান আরও উন্নত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

তিনি বলেন, আমি নিজেও অত্র মাদ্রাসার একজন প্রাক্তন ছাত্র। মাদ্রাসার সঙ্গে আমার কৈশোর নিবিড়ভাবে জড়িত। জীবনের সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্তগুলো এ প্রাঙ্গণে কাটিয়েছি। বর্তমানে মাদ্রাসার সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পেরে গর্ববোধ করছি।

নবগঠিত সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম খালেদ আরো বলেন, আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। এক্ষেত্রে নতুন কমিটির পাশাপাশি মাদ্রাসার শিক্ষক, অভিভাবক, প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের আন্তরিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।

ফ্যাসিবাদ সরকারের সময় মাদ্রাসার তেমন কোনো উন্নয়ন লক্ষ্য করা যায়নি। বরং দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য, কমিটি দ্বন্দ্ব সারা বছর লেগে থাকতো। মাদ্রাসাটি কামিল (মাস্টার্স)রূপান্তর করা এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি। নতুন কমিটির মাধ্যমে দীর্ঘদিনের অবহেলিত মাদ্রাসাটির অবকাঠামোগত উন্নয়ন হবে বলে অনেক অভিভাবকগণ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Share With Your Friends

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *