খণ্ডকালীন পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উড আসার পর থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেটে একটা কৌতূহল অনেকের মধ্যেই— তিনি আসলে কী করছেন? এখন কি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ব্যাট থেকে আরও বেশি বড় ছক্কা দেখা যাবে? দলের যেকোনো ব্যাটসম্যানকে পেলেই অবধারিতভাবে উঠে আসে এই জিজ্ঞাসা।
লিটন দাসেরও ব্যতিক্রম হওয়ার কারণ নেই। বরং তাঁকে প্রশ্ন করার বাড়তি কারণও আছে। তিনি দলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যান তো বটেই, তাঁর কাঁধে আছে টি–টোয়েন্টি অধিনায়কত্বের বাড়তি দায়িত্বও। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজ–পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে আজ তাঁকে প্রথম প্রশ্নটাই করা হলো এ নিয়ে।
উত্তরে লিটন মনে করিয়ে দিয়েছেন বাস্তবতা, ‘দেখেন, কেউ আসলে দুই-তিন দিনে পুরো বদলে দিতে পারবে না। তবে অনুশীলনে তার কিছু চিন্তাধারা আমাদের কাছে একেবারেই নতুন লেগেছে। আমরা কাজ করেছি। দেখা যাক বাকিটা…এখনো তো ম্যাচ খেলিনি সে আসার পরে। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই দেখা যাবে যে বাংলাদেশ দল কতটা উন্নতি করেছে।’

সাক্ষাৎকারে পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উডও বলেছিলেন, পাওয়ার হিটিং একটা প্রক্রিয়ার ব্যাপার। ক্রিকেটারদের মূল ভিত্তি ঠিক রেখেই তাঁদের আরও জোরে খেলার কৌশল শেখাচ্ছেন তিনি। ক্রিকেটাররা ব্যর্থ হলেও যেন প্রক্রিয়া থেকে বের না হন।
লিটনও বলেছেন মনোযোগ ধরে রাখার কথাই, ‘আমরা যারা এখানে ক্রিকেট খেলি, সাত-আট বছর হয়ে গেছে, কারও কারও ১০ বছর হয়ে গেছে। একটা প্যাটার্ন তো থাকে। যে যার প্যাটার্নে ক্রিকেট খেলছে। তার ভেতর সে চেষ্টা করছে আলাদা কিছু আনার। কিন্তু এটার দেখা পেতে আপনার একটু সময় দিতে হবে। যদি একটু সময় ধারাবাহিকতা রেখে আমরা ওই মনোযোগ ধরে রাখতে পারি, হয়তো অদূর ভবিষ্যতে পরিবর্তন হবে।’
এশিয়া কাপের তিন সপ্তাহের প্রস্তুতি ক্যাম্প করেছে বাংলাদেশ। ফিটনেস দিয়ে শুরু হয়ে যা গত দুই সপ্তাহে ঢাকা ও সিলেটে চলেছে ব্যাট–বলের অনুশীলনে। এর মধ্যেই বিশেষজ্ঞ কোচ হিসেবে কাজ করেছেন জুলিয়ান উড।

ফিটনেস থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত এশিয়া কাপের প্রস্তুতি নিয়ে লিটন আজ বলেছেন, ‘সব মিলিয়ে আমি যদি দেখি আমাদের প্রস্তুতি খুব ভালো। এত ভালো সুযোগ–সুবিধাসহকারে প্রস্তুতি খুব কমই পাওয়া যায়।’
৩০ আগস্ট বাংলাদেশ–নেদারল্যান্ডস সিরিজের প্রথম টি–টোয়েন্টি।