২৪ ঘণ্টার ভেতর পদত্যাগ, নতুন ছাত্রসংগঠন নিয়ে বিতর্কের ব্যাখ্যা দিলেন রিফাত রশীদ

নতুন ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ গঠনের মাত্র ২৪ ঘণ্টার মাথায় পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন সংগঠনের অন্যতম শীর্ষ নেতা রিফাত রশীদ। তিনি সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন, তবে পদত্যাগের কারণ হিসেবে তিনি সংগঠন গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি পদত্যাগের কারণ ব্যাখ্যা করেন। তিনি লেখেন, “গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটিতে আমার নাম ঘোষণা করা হলেও, আমার সম্মতি নেওয়া হয়নি।” তিনি আরও জানান, আলোচনা চললেও সেটি ফলপ্রসূ হয়নি, অথচ অনুমতি ছাড়াই তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

এছাড়া, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (বৈছাআ) সাংগঠনিক কাঠামো ও নেতৃত্বকে ব্যবহার করেই নতুন সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে”—এমন অভিযোগ তুলেছেন তিনি। রিফাতের দাবি, বৈছাআ-এর শীর্ষ নেতাদের অংশগ্রহণ ছাড়াই নতুন সংগঠন গঠিত হয়েছে, যা ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

তিনি বলেন, “প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, সাত কলেজ এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি।” বিশেষত, বৈছাআর শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে টপ ৮টি পদে সমন্বয়ের কথা থাকলেও, বাস্তবে অনেককে পজিশন দেওয়া হয়নি। তিনি আরও দাবি করেন, “প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্বের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তা রাখা হয়নি, ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।”

রিফাত রশীদ জানান, তার নাম সদস্য সচিব হিসেবে ঘোষণা করা হলেও, ধাপে ধাপে তাকে পিছিয়ে দেওয়া হয়। প্রথমে মুখ্য সংগঠক, পরে মুখপাত্র এবং সবশেষে সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব পদ দেওয়া হয়। এ অবস্থায় তিনি সংগঠন থেকে সম্পূর্ণভাবে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।

তিনি বলেন, “আমি সংগঠনের স্বার্থে পদ আঁকড়ে ধরতে চাইনি, বরং সংগঠন থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, সংগঠন গঠনের পুরো প্রক্রিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন এবং ছাত্রদের স্বার্থ রক্ষার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

নতুন ছাত্রসংগঠন গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক এখনো চলমান। সংগঠনের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও নেতৃত্ব ভাগাভাগি নিয়ে ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েই চলেছে।

Share With Your Friends

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *