বিদ্রোহীদের বিষয়ে সতর্ক করেছিল ইরান, শোনেননি বাশার আল-আসাদ

সিরিয়ার বিদ্রোহীদের অভিযানের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে আগেই সতর্ক করেছিল ইরান। তবে তা কানে তোলেননি বাশার। এর পরিণতিতে ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়েছে তাঁকে। ইরানের পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ বাগের গালিবা এমন তথ্য জানিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত বার্তা সংস্থা ইরনার খবরে এমনটাই বলা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাশারের পতনের ফলে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের যে ‘প্রতিরক্ষা অক্ষ’ রয়েছে, তার ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন মোহাম্মদ বাগের গালিবা। লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হুতিসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী নিয়ে ইরানের ‘প্রতিরক্ষা অক্ষ’ গঠিত।

মোহাম্মদ বাগের গালিবা বলেন, ইরানের সতর্কবার্তা যদি বাশার শুনতেন, তাহলে আজ সিরিয়ায় অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা হতো না এবং জাতীয় সম্পদ ক্ষতির মুখে পড়ত না। ‘প্রতিরক্ষা অক্ষের’ বিষয়ে তিনি বলেন, যা–ই হোক না কেন, হিজবুল্লাহসহ পুরো ‘প্রতিরক্ষা অক্ষ’ আগের চেয়ে শক্তিশালী ও উজ্জীবিত হবে।

ইরানের পার্লামেন্টের স্পিকার বলেন, ‘দেশকে শোচনীয় অবস্থায় পড়তে দেখে সিরিয়ার জনগণের বোধোদয় হবে বলে আমরা আত্মবিশ্বাসী। দেশের সম্মান ফিরিয়ে আনার জন্য দেশপ্রেমিক তরুণেরা একটি পথ খুঁজে বের করবেন বলেও আমাদের বিশ্বাস রয়েছে।’

সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের এক ঝটিকা অভিযানের মুখে গত রোববার পতন হয় বাশারের। গত ২৭ নভেম্বর ছোট-বড় আরও কয়েকটি গোষ্ঠীকে সঙ্গে নিয়ে এই অভিযান শুরু করেছিল বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর মিত্রদেশ রাশিয়ায় চলে যান বাশার। সেখানে তাঁকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

২০০০ সাল থেকে প্রায় দুই যুগ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন বাশার। এ সময় রাশিয়ার পাশাপাশি ইরানও তাঁকে ক্ষমতায় টিকে থাকতে সহায়তা করেছে। বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়তে বারবার এগিয়ে এসেছে ইরানপন্থী হিজবুল্লাহ। তবে বিদ্রোহীদের সাম্প্রতিক অভিযান প্রতিরোধে হিজবুল্লাহ তেমন ভূমিকা রাখতে পারেনি। কারণ, লেবাননে চলা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ গোষ্ঠীটিকে অনেকটা দুর্বল করে তুলেছে।

Share With Your Friends

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *