দক্ষিণ অঞ্চলের উচ্চশিক্ষা অর্জনের অন্যতম বিদ্যাপীঠ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় যেনো এক সমস্যার আতুড়ঘর।
দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষদের উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য ২০১১ সালে দেশের ৩৩ তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সমস্যা যেনো এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পিছুই ছাড়ছে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ২৫ টি ডিপার্টমেন্ট রয়েছে কিন্তু তার বিপরীতে শ্রেণিকক্ষ রয়েছে মাত্র ৩২ টি।
শিক্ষার্থী অনুপাতে শিক্ষকেরও রয়েছে ঘাটতি।যার জন্য তৈরি হচ্ছে সেশনজট।
শুধু একাডেমিকই নয়,আবাসন ব্যবস্থায়ও রয়েছে ঘাটতি।৯০০০+ শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে মাত্র ৪ টি হল,যা শিক্ষার্থীদের সংখ্যার তুলনায় নগন্য।
পরিবহন ব্যাবস্থায়ও যেনো ভোগান্তির বাসা,
শিক্ষার্থীদের সংখ্যার বিপরীতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কয়টি বাস রয়েছে তা একেবারে নগন্য। যার ফলাফল স্বরূপ, প্রায়শই দেখা যায় ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ট্রাক-মিনি ট্রাকে যাতায়াত করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল কাজেও রয়েছে ভোগান্তি। অদক্ষ কর্মকর্তা- কর্মচারী দ্বারা চালানো হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল কাজ যার জন্য বাড়ছে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি, মেডিকেল ও যেনো সমস্যায় জর্জরিত। এত এত সমস্যার মাঝে আবার নতুন ভাবে দেখা দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অভ্যান্তরিন ক্রোন্দল। উপাচার্য- উপ উপাচার্যের একে অন্যের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি নোটিশ জারি যেনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যার নতুন মাত্রা যোগাযোগ করেছে।
এই সকল সমস্যার কারনে ভোগান্তিতে পড়ছে ববির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।ফলাফল স্বরূপ, বাড়ছে সেশনজট, ৬ মাসের সেমিস্টার ৮ মাস বা তার চেয়েও বেশি সময়ে গিয়ে শেষ হচ্ছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের মাঝে তৈরি হচ্ছে হতাশা।