প্রতিশোধ নিতে মাঠে হুথি

আবারো ইয়েমেনের প্রতি আগ্রাসী হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র।  দেশটির হুথি বিদ্রোহীদের দমন করতে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।

 ইরানকে বাঘে আনতে আর ইসরাইলকে নিরাপদ রাখতেই এই পথে হাঁটছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।

 তবে হুথি দম্বার পাত্র নয়।

 তারা বলছে ফিলিস্তিনে যতদিন আগ্রাসন চলবে ততদিনই লোহিত সাগরে চলবে তাদের ইসরাইল বিরোধী অভিযান।  এছাড়াও তারা ইসরাইলি ভূখন্ড লক্ষ্য করে সরাসরি হামলাও অব্যাহত রাখবে।

 এবার হুথিদের দমাতে আরো আগ্রাসী হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র । পেন্টাগন একদিনেরও কম সময়ের মধ্যে ইয়েমেনের বিভিন্ন প্রদেশে প্রায় 30 টি বিমান হামলা  চালিয়েছে।

 বিশেষজ্ঞরা বলছেন,  সানার ফিলিস্তিনিপন্থী অভিযান বন্ধ করার জন্য এই কৌশল বেছে নিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন প্রশাসন।  ইয়েমেন সূত্রগুলো জানিয়েছে মার্কিন যুদ্ধবিমান মঙ্গলবার সানা প্রদেশে 11 টি বিমান হামলা চালিয়েছে।

 বিশেষ করে বাণী হুসাইশ এবং সানহান জেলাকে লক্ষ্য করেছে মার্কিন বাহিনী।  ইয়েমেনে মার্কিন বোমা হামলা আরো বিস্তৃত করা হয়েছে।  মাজ্জার এবং জওবা জেলাসহ মারিব প্রদেশে 13 টি হামলার খবর পাওয়া গেছে।

 এছাড়াও পশ্চিম ইয়েমেনের আল হুদায়দা প্রদেশের উপকূলে কামরান দ্বীপে চারটি বিমান হামলা চালানো হয়েছে।  সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে আমেরিকান বিমান বাহিনী ইয়েমেনে চালানো সবচেয়ে ভারী বোমা হামলাগুলির মধ্যে এটি অন্যতম।

 যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে তাদের হামলার লক্ষ্য ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর সামরিক সক্ষমতা হ্রাস করা,  বিশেষ করে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ইউনিট গুলিকে ধ্বংস করে দেয়া।

 তবে সেই আশায় গুড়েবালি।  বোমার পর বোমা মেরেও হুথি বিদ্রোহীদের দমানো যাচ্ছে না।  প্রতিশোধমূলক জবাব হিসেবে তারা লোহিত সাগরে মার্কিন রণতরিতে হামলা জোরদার করেছে।  ইসরাইল বিমানবন্দর লক্ষ্য করে তারা হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে।

 বিশেষজ্ঞরা বলছেন হুথিদের লক্ষ্য করে চালানো মার্কিন হামলাগুলো কার্যত ব্যর্থ  হচ্ছে ইয়েমেনের ভূপ্রকৃতির কারণে।  কৌশলগত সুবিধা পাচ্ছে হুথি বিদ্রোহীরা ।

উল্টো মার্কিন নির্বিচার হামলায় ইয়েমেনের সাধারণ মানুষের প্রাণ যাচ্ছে।

 2023 সালের অক্টোবর থেকেই ইসরাইল বিরোধী অভিযানে নেমেছে হুথি।  ইসরাইল বাহিনী গাজা উপত্যকায় গণহত্যা শুরু করলে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানায় তারা।

 তখন থেকেই ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি ইসরাইল সংশ্লিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে অসংখ্য অভিযান পরিচালনা করে আসছে । তেল আবিবকে যুদ্ধ বন্ধ করতে এবং ফিলিস্তিনি ভূখণডে একযুগে অবরোধের অবসান ঘটাতে বাধ্য করার উপায় হিসেবে এই পথে হাঁটছে হুথি।

 ইয়েমেনের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ এবং  ইসরাইলি হামলার সাথে মার্কিন অভিযান তীব্রতর হওয়ার পরও পিছু হটছে না হুথি।  তারা বারবার বলছে তাদের অভিযান তেল আবিবের গণহত্যার বৈধ প্রতিক্রিয়া ।

যতক্ষণ না ইসরাইল উপকূলীয় অঞ্চলের বিরুদ্ধে তাদের আগ্রাসন এবং অবরোধ বন্ধ করবে ততক্ষণ হুথির আক্রমণও অব্যাহত থাকবে ।

Share With Your Friends

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *