চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ‘স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন ফর মেরিন রিমোট সেন্সিং (এসজিএসএমআরএস)’ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে (২৬ মার্চ) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সমুদ্র গবেষণা ও পর্যবেক্ষণের জন্য একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগ এবং চীনের প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সেকেন্ড ইন্সটিটিউট অফ ওশানোগ্রাফির (এসআইও) যৌথ উদ্যোগে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান এবং উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন। এছাড়াও, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, এই স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপনের মাধ্যমে গভীর সমুদ্রের প্রাকৃতিক সম্পদ শনাক্তকরণ ও গবেষণার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বিশেষ করে ব্লু ইকোনমি ও মৎস্য খাতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রকল্প সমন্বয়ক ও সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন মুন্না জানান, এই স্টেশন থেকে সমুদ্রের গতিবিদ্যা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, সুনামি ও সাইক্লোনের পূর্বাভাস, মেরিন রিসোর্স ম্যাপিং এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় উন্নত তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। এটি বাংলাদেশকে সমুদ্র গবেষণায় আঞ্চলিক নেতৃত্ব দিতে সহায়তা করবে।
প্রত্যাশিত সুবিধা:
- সমুদ্র গবেষণায় উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ডাটা প্রসেসিং সেন্টার
- জলবায়ু ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় উন্নত প্রযুক্তি
- মৎস্য ও ব্লু ইকোনমি খাতে গবেষণার সুযোগ
- আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে প্রযুক্তি হস্তান্তর
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, ছাত্রছাত্রী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রকল্পটির সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের সমুদ্র গবেষণা ও প্রযুক্তিখাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মোঃ রাফিকুল ইসলাম
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি