কানাডার অনেকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে তাঁদের দেশকে দেখতে চায়: ট্রাম্প

প্রতিবেশী দেশ কানাডার অনেক বাসিন্দা চান, তাঁদের দেশকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য করা হোক। কানাডা যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একীভূত হয়, তাহলে দেশটিকে কোনো বাণিজ্য শুল্ক দিতে হবে না, করের পরিমাণও কমবে। জাস্টিন ট্রুডো গতকাল সোমবার কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পর নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এ কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

কানাডায় রাজনীতি, অর্থনীতিসহ নানা কারণে ট্রুডোর জনপ্রিয়তায় বড় ধস নেমেছিল। দেশটির অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেই সম্প্রতি ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, ২০ জানুয়ারি ক্ষমতায় বসার পর কানাডা থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন তিনি।

রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ট্রুডো গতকাল পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর তাঁকে নিয়ে মজাই করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, কানাডার অনেক মানুষ যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হতে চান। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যে যে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে এবং কানাডার টিকে থাকতে যে ভর্তুকির দরকার তার ভার আর বইতে পারবে না যুক্তরাষ্ট্র। জাস্টিন ট্রুডো এটা জানতেন, তাই তিনি পদত্যাগ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একীভূত হলে কানাডা নানা সুযোগ–সুবিধা পাবে বলে পোস্টে উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, কানাডা যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একীভূত হয়, তাহলে শুল্কের পরিমাণ কমবে। করও কমে আসবে। এ ছাড়া রাশিয়া ও চীনের জাহাজগুলো কানাডাকে ক্রমাগত ঘিরে ফেলছে। দেশ দুটির এই হুমকি থেকে নিরাপদে থাকবে অটোয়া। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা মিলে মহান একটি দেশ হবে।

৯ বছর কানাডার নেতৃত্ব দেওয়ার পর অসন্তোষের মুখে নিজ দল লিবারেল পার্টির প্রধানের পদও ছাড়ার ঘোষণা দেন ট্রুডো। তাঁর এ ঘোষণা অনুযায়ী, লিবারেল পার্টি তাদের নতুন নেতা বেছে না নেওয়া পর্যন্ত ট্রুডো প্রধানমন্ত্রী পদে বহাল থাকবেন। দলীয়ভাবেই নতুন নেতা নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

Share With Your Friends

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *