ইউরোতে ইতালি বনাম ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচে যোগ করা সময়ের খেলা চলছিল তখন। ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা ইতালি কাঁপছিল বিদায়ের শঙ্কায়। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে সেটি ছিল ইতালির সম্ভাব্য শেষ আক্রমণ।
এই সেন্টার-ব্যাক যখন প্রতিপক্ষ বক্সের কাছাকাছি আসেন, তখন ক্রোয়েশিয়ার বেশির ভাগ খেলোয়াড় তাঁকে ঘিরে তৈরি করেন দুর্গ। কালাফিওরি চাইলে তখনই পাস দিতে পারতেন। সামনে তিন খেলোয়াড় অপেক্ষাতেও ছিলেন। কিন্তু এই ডিফেন্ডার তা না করে আরও একটু এগিয়ে বক্সের লাইনে চলে আসেন।
ক্রোয়েশিয়ার খেলোয়াড়েরাও তাঁকে আটকাতে আরও ঘন হয়ে আসেন। কালাফিওরি অপেক্ষায় ছিলেন এমন একটি মুহূর্তের। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের কাছে টেনে নিয়ে বাঁ প্রান্ত দিয়ে তিনি বল বাড়িয়ে দেন মাতিয়া জাকাগনিকে। বল পাওয়ার গোলরক্ষককে ফাঁকি দেওয়ার কাজটাই শুধু করতে হতো জাকাগনিকে। সেটি ঠিকঠাকভাবে করে ম্যাচ ড্র করার পাশাপাশি ইতালিকে শেষ ষোলোতে নিয়ে যান জাকাগনি।
তবে গোলদাতা জাকাগনির চেয়ে এই গোলের পর বেশি আলোচনায় আসেন কালাফিওরি। যেন এই গোল বানিয়ে দিয়েই ফুটবল দুনিয়ায় নিজের আগমনী বার্তাটা দেন বোলোনিয়োর এই সেন্টার-ব্যাক। তবে এই গোলটি বাদ দিলেও ইউরোতে তিন ম্যাচ খেলে নিজেকে চিনিয়ে দেন কালাফিওরি। এরপর থেকেই তাঁকে ঘিরে তৈরি হয় আলোচনা। ইউরোপের বড় ক্লাবগুলোও হাত বাড়ায় তাঁর দিকে, যা তাঁকে এবার নিয়ে এসেছে আর্সেনালে। বোলোনিয়া থেকে ৪ কোটি ২০ লাখ পাউন্ডে ৫ বছরের জন্য আর্সেনালে এসেছেন এই ইতালিয়ান।